top of page
  • Writer's pictureDhaka Designer Admin

আর্কিটেক্ট ভাল না খারাপ কিভাবে বুঝবেন ?

খুব ই জটিল প্রশ্ন। কারণ, সত্যিকার অর্থে ভাল-খারাপ বোঝার কোন সরাসরি উপায় নেই। তবে কিছু গাইডলাইন দেয়া যেতে পারে। মোটা দাগে আর্কিটেক্টদের ভালো খারাপ বেশ ক'টা দিক থেকে আলোচনা করা যায়

এক, মানুষ হিসেবে, আর্কিটেক্টদের বিরাট একটা অংশ ভাবগম্ভীর এবং অ-মিশুক। অনেকেই এই ধরণের মানুষের সাথে কাজ করতে চান না। তাই এটা মাথায় রাখতে হবে আপনি হাসিখুশি আড্ডাবাজ কারো সাথে কিংবা লাজুক ইন্ট্রোভার্ট কারো সাথে কাজ করতে চান। এটা কখনোই উচিত হবেনা একজন মানুষ ইন্ট্রোভার্ট বা এক্সট্রোভার্ট হওয়ার জন্য আপনি তাকে পছন্দ বা অপছন্দ করবেন


দুই, আর্কিটেক্ট হিসেবে ভাল খারাপটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য দুটো দিক দেখতে হয়। প্রথমত, একাডেমিক কোয়ালিফিকেশান বা সে কোথায় এবং কি ধরণের পড়াশোনা করেছে। সে কি ডিপ্লোমা নাকি ব্যাচেলর করা, মাস্টার্স করেছে? এওয়ার্ড পেয়েছে কোন? অনেকেই মনে করে একাডেমিক কোয়ালিটি গুরুত্বপূর্ণ না। কথাটা ঠিক না।

আর দ্বিতীয়ত, অভিজ্ঞতা। সে কত বছর ধরে ডিজাইনের সাথে বা কন্সাল্টেন্সির সাথে জড়িত। যত অভিজ্ঞতা তত ভালো। সেই সাথে অবশ্য ফি-টাও বাড়তে থাকে। তাই দুই-এর মিল করে ঠিক করতে হবে।

বেকার ফুড প্রডাক্টসএর জন্য ঢাকা ডিজাইনারের ডিজাইন করা চকলেট ফ্যাক্টরি, ভুলতা'য় অবস্থিত

তিন, কি ধরণের কাজ আর্কিটেক্ট বা তার ফার্ম করেন। যেই যেই ধরণের কাজ বেশি করেন, সেই কাজে তাদের এক্সপার্টিজ তত বেশি হয়। তাই ভাল খারাপ বিবেচনার জন্য তারা কোন প্যাটার্ণের বা ধরণের কাজ বেশি করেন সেটা জানা জরুরি। যারা মূলত ইন্টেরিওর ডিজাইন নিয়ে কাজ করে, তারা আপনার হসপিটাল বিল্ডিং ডিজাইনের জন্য উপযুক্ত না-ও হতে পারে। অথচ সেই হসপিটালের ইন্টেরিওর ডিজাইনের জন্য হতে পারে পারফেক্ট।


চার, অফিস সেটাপ । আর্কিটেক্টরা নানানভাবে প্র্যাকটিস করেন।


কেউ একা একাই সব কাজ করেন। ফ্রিল্যান্সারের মত। সবকিছুই আউটসোর্স করেন বেসিক ডিজাইন ছাড়া। এক্ষেত্রে অনেকাংশেই তাদের কাজ ডেলিভারি দিতে সময় বেশি লাগতে পারে কিন্তু, যেহেতু নিজেই সব কাজ করছেন, তাই কাজের কোয়ালিটি বেশ ভাল হয়। তবে খুব বেশি প্রজেক্ট একা হওয়ার কারণে তারা করতে পারেন না।


এরপর আছে পার্টনারশিপ ফার্ম। তিন-চারজন বন্ধু বা আর্কিটেক্ট মিলে পরিচালনা করেন প্রতিষ্ঠানটি। এটা সবচেয়ে জনপ্রিয় প্র্যাকটিস। পার্টনারদের সবাই আর্কিটেক্ট হতেও পারেন না-ও পারেন তবে, সমান মেধা সম্পন্ন অনেকগুলো মাথা থাকায় একসাথে তারা অনেক কাজ নিতে পারেন এবং মোটামুটি সময়মত কাজ শেষ-ও করতে পারেন।


আর সব শেষে আছে লিমিটেড কোম্পানি অথবা কখনো বড় আকারের প্রপ্রাইটারশিপ। এটা আর দশটা কোম্পানির মত বড় প্রতিষ্ঠান । পার্টনারশিপ ফার্মগুলো বাংলাদেশে প্রায়ই ভেঙ্গে যায়। আপনার তিন বা পাঁচ বছর মেয়াদি প্রজেক্ট চলতে চলতেই কখনো দেখবেন কোম্পানি ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে গেছে। এসব ঝামেলা থেকে মুক্তির জন্য লিমিটেড কোম্পানি ভালো। এখানে চেয়ারম্যান, ম্যানেজিং ডিরেক্টর ছাড়াও থাকে নানান ধরণের ইনভেস্টর এবং রকমারি স্টেকহোল্ডার। আপনি যদি কন্সট্রাকশন রিলেটেড বিভিন্ন সার্ভিস চান আর সেই সাথে কম দামে ম্যাটেরিয়াল সোর্সিং, তাহলে জেনে রাখবেন লিমিটেড কোম্পানিগুলোর এইদিকে বেশ ভালো সুযোগ সুবিধা দিতে থাকে। ব্যাংক লোন বলেন বা বড় অংকের ট্র্যানসাকশন। লিমিটেড কোম্পানি সেইফ। এছাড়া লিমিটেডের সবচেয়ে বড় নিগেটিভ দিক হচ্ছে প্রাইসিংটা। খুব একটা কম্প্রোমাইজ করা সম্ভব হয়না। কারণ এখানে আর্কিটেক্ট ছাড়াও নানান ধরণের মানুষ জড়িত থাকে। তাই সময়ের সাথে "না" করে দেয়া প্রজেক্টের সংখ্যাও বাড়তে থাকে


Comments


bottom of page